ভালুকায় নরক যাত্রার অপর নাম সিডষ্টোর-বাটাজোর সড়ক
প্রকাশিতঃ ১১:৪২ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ২৭, ২০১৮

প্রভাষক আনোয়ার হোসেন তরফদার, ভালুকার খবর: ভালুকার সিডষ্টোর-বাটাজোর-সখিপুর সড়কে চলাচল যেন এখন নরক যাত্রার শামীল। পুরু সড়কটির অবস্থা এতটাই নাজুক যে বলে বুঝানোটা কষ্টকর। রাস্তার বহন ক্ষমতার চেয়ে বেশি ওজনসম্পন্য স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চলাচল করে রাস্তাটি নষ্ট করলেও কোন শিল্প মালিকেরও রাস্তাটির সংস্কারের দিকে নজর নেই বিন্দুমাত্রও।
প্রায় সবটুকু অংশেই সৃষ্টি হয়েছে গর্ত, সেই গর্তে একটু বৃষ্টিতেই যেন ডোবায় পরিনত হয়। জনবহুল সড়কটির বিভিন্ন স্থানই এখন যানবাহন চলাচলের অযোগ্য। প্রতিনিয়ত সড়কটিতে বাস, অটো রিক্সা, মালবাহী ট্রাক, লরি, পিকআপ ভ্যানসহ মিল শ্রমিক বাহী শতশত যানবাহন সখীপুর ও বাটাজোর বাজার থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। সড়কে অসংখ্য খানা-খন্দের কারনে সৃষ্টি হয় যানজট ও বিঘ্ন ঘটে গাড়ী চলাচলের। সব মিলিয়ে ওই রাস্তায় চলাচলরত সকল মানুষের নাভিশ্বাঃস এখন চরমে।
বাস চালক আনিস মিয়া বলেন, প্রায়ই আমারা এই রাস্তায় দুর্ঘটনার শিকার হই। বাটাজোর ,কাচিনা বাজার রাস্তাটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় গর্ত। যার ফলে প্রতিদিনই গাড়ী বিকল হয়। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করার সময় প্রতিনিয়িত আমাদের মনে দূর্ঘটনার ভয় থাকে।
রাস্তাদিয়ে নিয়মিত চলাচল করা কাচিনা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান উজ্জল জানান, আমাদের উপজেলার সবচেয়ে খারাপ রাস্তাটিই সিডষ্টোর-বাটাজোর সড়ক। অথচ এই রাস্তায় বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু কারও কোন প্রকার মাথাব্যাথা নেই। আমারা এই রাস্তাটির অতি দ্রুত মেরামত চাই।
ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম সরকার, জানান সিডস্টোর-সখীপুর সড়কটির টেন্ডার হয়েছে। আগামী জুলাই মাস থেকে কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। আরসিআইপি-২ প্রজেক্ট এর অর্থায়নে কাজটি হবে।
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলে নামকাওয়াস্তে কিছু ইট-বালি ফেলা হয়। স্থানীয়রা এই ইট বালি ফেলাকে লোকদেখানো ও সরকারের টাকা অপচয় বলে মনে করেন। আর নাম মাত্র নয়, গুরুত্বপূর্ন এ রাস্তাটির স্থায়ী সমাধান চায় ভুক্তভোগীরা।