|

ভালুকায় চোখেই পড়েনা বাবুই পাখির বাসা

প্রকাশিতঃ ২:০৬ পূর্বাহ্ণ | এপ্রিল ২৮, ২০১৮

মো. আসাদুজ্জামান সুমন, ভালুকার খবর: বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই, কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই, আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে তুমি কত কষ্ট পাও রোধ বৃষ্টির ঝড়ে।শিল্পাঞ্চল ভালুকার জন্য কবির সেই কবিতাটি এখন যেন কেবল বইয়ের পাতায়ই।বাবুই পাখিদের খুব একটা দেখা যায় না। বর্তমানে শিল্পসমৃ্দ্ধ এলাকাটিতে একসময় পর্যাপ্ত পরিমাণে তাল গাছ ছিলো। কিন্তু কালের পরিক্রমায় সব তাল গাছ এখন হারিয়েই যায়নি তার সাথে সাথে হারিয়ে গেছে বাবুই পাখিও।

চলাচলরত অবস্থায় দেখা যায়  গোটা ভালুকা অঞ্চলের  তাল ও খেজুর গাছ আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। আর তাল গাছ, খেজুর গাছ নেই তো বাবুই পাখিও নেই। খড়কুটায় গড়া সেই বাসা তো দূরের কথা, এখন বাবুই পাখির দেখা মেলা ভার। দিন পরিবর্তন, প্রকৃতির বদল, আবহাওয়ার প্রতিকূলে হোক কিংবা শিকারিদের অব্যাহত কালো থাবায় কিংবা কীটনাশকযুক্ত ফসল, শিল্পাঞ্চলে আজ বাবুইদের অস্থিত্ব হারিয়ে যেতে বসেছে।

গ্রাম্যএলাকায় হঠাৎ দেখা মেলে নিপুণ কারিগর বাবুই পাখি বিভিন্ন ধরনের খড়-কুটার সমন্বয়ে গড়ে তুলা কুঁড়ে ঘর। নিজের শিল্প নৈপুণ্যে গড়ে তোলা এসব বাসা যে কাউকেই বিমোহিত করবে। কারণ রোদ বৃষ্টি ঝড়েও নষ্ট হয় না তার নিখুঁত বুননে গড়ে তোলা এই কুঁড়ে ঘর।

পুরুষ বাবুই পাখির মাথার পেছনে রয়েছে চকচকে হলুদ রঙের পালক। আর পিঠে রয়েছে হলুদের টানা টানা দাগ। স্ত্রী পাখিদের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যাতিক্রম লক্ষ্য করা যায়। বুকের রং সাদা হলেও পিঠের পালকে হলুদ রং থাকে না। এই সুন্দর বাবুই পাখি প্রকৃতির কাছ থেকে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। অভায়রণ্য না থাকায় তাদের একদিন হয়তো আর দেখাই যাবে না। আর সেদিন হয়তো কবিরাও কোন কবিতা লিখবে না বাবুইদের নিয়েও।

পাখিপ্রেমি স্বপ্ন কুঁড়ি আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ‍রিটন বলেন, আমাদের ভালুকা একটি শিল্পসমমৃদ্ধ এলাকা তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হয়তো পুরুনো অনেক গাছপালা কেটে ফেলতে হয়। কিন্তু আমাদের ভালুকা অঞ্চলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ২পার্শ্বে যদি তাল বা খেজুর গাছ রোপণ করা হয় তবে যেমন পরিবেশ সুন্দর হবে তেমনই অস্তিত্ব থাকবে এমন অসংখ্য বাবুই পাখিদের।

Print Friendly, PDF & Email