স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ
প্রকাশিতঃ ১:০৭ পূর্বাহ্ণ | মে ১১, ২০১৮

ডেস্ক রিপোর্ট, ভালুকার খবর: বাংলাদেশের স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশের চূড়ান্ত লগ্ন এসে গেছে। বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট ওড়ানো রাষ্ট্রের তালিকায় নাম বাংলাদেশের নাম লেখাতে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা প্রায় শেষ। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোর কেপ কেনেডি সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে মহাকাশে উড়বে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ১০ মে বিকাল ৪টা ১২ মিনিট থেকে ৬টা ২২ মিনিটের মধ্যে (বাংলাদেশ সময় ১০ মে, দিনগত রাত ২টা ১২ থেকে ৪টা ২২ মিনিট) যে কোনও সময় মার্কিন প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-এর ফ্যালকন-৯ ব্লক-৫ রকেটের চেপে আকাশে উড়াল দেবে সাড়ে তিন হাজার কেজি ওজনের এই স্যাটেলাইট।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, স্যাটেলাইটটি ৩ মিনিটের মধ্যে (১৬২ সেকেন্ড) উৎক্ষেপণ শেষ হবে। এরপর রকেটে করে স্যাটেলাইট মহাকাশের পথে (বাংলাদেশের ভাড়া নেওয়া অরবিটার স্লট ১১৯.৯ ডিগ্রিতে) যাবে স্যাটেলাইটটি।
উৎক্ষেপণের ৮ দিন পর স্যাটেলাইটটি অরবিটাল স্লটে প্রতিস্থাপিত হয়ে সংকেত পাঠাতে শুরু করবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে স্যাটেলাইটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটে ২৬টি কু-ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডার ও ১৪টি সি-ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। এটি সক্রিয় হলে দেশের টেলিভিশন ও ব্রডব্যান্ড যোগাযোগে উন্নতি ঘটবে। এ স্যাটেলাইটের কারণে ৩ ধরনের সেবা ও ৪০ ধরনের সুফল পাবে দেশবাসী।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকে কেন্দ্র করে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিটিভিতে স্যাটেলাইট উৎক্ষপণ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এজন্য বিভিন্ন শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বড় আকারের প্রজক্টর লাগানো হয়েছে, যার মাধ্যমে বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠান দেশের সাধারণ মানুষ দেখতে পারেন।
এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠানটি প্রচারে দেশের সব জেলা প্রশাসন ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। জানা গেছে, এর অংশ হিসেবে বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায়ই শহর জুড়ে মাইকিং করা হয়েছে।
এখন চূড়ান্ত সময়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা, স্যাটেলাইটটি সফলভাবে উৎক্ষেপণের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তির অভিজাত ক্লাবে প্রবেশের অপেক্ষা ফুরাবে।