পরিবেশ আজ হুমকির মুখে
প্রকাশিতঃ ১:২৪ অপরাহ্ণ | জুন ১২, ২০১৮

আনোয়ার হোসেন তরফদার: আমরা মানুষ আমাদের আছে জীবন আর এ জীবন টাকে সুস্থ সুন্দর রাখতে হলে আমাদের প্রয়োজন পরিবেশ টাকে সুন্দর করে রাখা কিন্তুু আমরা আজ তা পারছিনা কোন ভাবে আমাদের পরিবেশটাকে ঠিক রাখতে । আমরা যেন আজ নিজেরাই ধংস করছি নিজেদের কে আমরা দেখেছি আমাদের খাল বিল নদী নালা পুকুর বড় বড় বন জঙ্গল পাহাড় এখন তা আর নেই, কিছু আছে তাও প্রায় শেষ প্রান্তে, তাহলে কেমনে রক্ষা পাবে আমাদের পরিবেশ? আমরা শুধু নষ্ট করছি গাছ পালা, বন্ধ করে দিচ্ছি নদী খাল বিল, গড়ে তুলছি শুধু শিল্প খারখানা, মানছেনা কোন নিয়ম কানুন কিছু অসাধু কর্মকর্তার কারনে পাচ্ছে ফসলের জমি, বনের জমিতে শিল্প কারখানা গড়ে তুলার দুঃসাহস, পরিবেশ দুষনের কারনে নদ-নদী, খাল-বিল বিস্তৃত বাংলাদেশের চিরচেনা রুপ আজ স্মৃতির পাতায় ঠাঁই করে নেয়ার আশায় রয়েছে, যা খুব কষ্টদায়ক। বাংলাদেশের নদীগুলো যেমন শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী পদ্ধা, মেঘনা,যমুনা, ব্রহ্মপুত্র তুরাগ ছিল প্রবল প্রবাহমান নদী। কিন্তুু আজ নদীগুলোর নেই সেই চির চেনা যৌবন। নদীগুলো হারাচ্ছে নাব্যতা ও গতিপথ। পরিবেশ হয়ে পড়ছে মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। আজ নদীগুলো র তীরবর্তী ভুমি দখল করে আছে নদী খেকো ভূমিদস্যুরা, ঐ দস্যুদের কারনে ধংস হচ্ছে নদী পথ ধংস হচ্ছে জীব বৈচিত্র্য ধংস হচ্ছে পরিবেশ, আর পাশে তৈরি করা হচ্ছে ডাইং মিল ফ্যাক্টরি যার পানি নদীতে ফেলা হচ্ছে আর দূষন হচ্ছে পরিবেশ। পরিবেশ সংরক্ষন বিধিমালা, ১৯৯৭ এর বিধি ১২(আ)- তে বলা আছে, যে কোন শিল্প মালিক ইটিবি স্হাপন করে পরিবেশ গত ছাড়পএের জন্য আবেদন করবে। পরিবেশ ছাড়পএ ছাড়া গ্যাস সংযোগ গ্রহন করতে পারবেনা এবং কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্হাপন এমন কি পরিক্ষিামূলক উৎপাদন করতে পারবেনা। কিন্তুু সরে জমিন ঘুরে দেখা যায় দেশের বেশির ভাগ ডাইং ফ্যাক্টরির কোন ইটিবি নেই। তারা মিল চালাচ্ছে বহাল তবিয়তে। প্রতিদিন অপরিশোধিত বিষাক্ত তরল বর্জ্য নদী খাল বিলে ফেলে পরিবেশ দুষিত করছে। আর কিছু দালাল আছে এরা ধংস করছে হাজার হাজার একর বনের জমি, যার ফলে আমরা রেহাই পাচ্ছিনা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে তাই আসুন আমরা সকলে এক হয়ে মিলে মিশে রক্ষা করি আমাদের পরিবেশ গড়ে তুলি স্বপ্নের সোনার বাংলা,, আমাদের স্লোগান হোক ভরবো না নদীনালা কাটবো না গাছ সুন্দর হবে পরিবেশ রক্ষা হবে দেশ।
লেখক-
প্রকাশক – ভালুকার খবর
প্রকাশক – ভালুকার খবর