শিক্ষার সর্বাপেক্ষা ‘সুউচ্চ’ স্তর হচ্ছে . . . . .
প্রকাশিতঃ ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ | অক্টোবর ০৩, ২০১৮

মিসবাহুল ইসলাম সা’দ:
শিক্ষার সর্বাপেক্ষা ‘সুউচ্চ’ স্তর হচ্ছে “মূল্যবোধ,আচার-আচরণ,ভাল কিংবা মন্দ ব্যাপারটি কি সেই বিষয়ক জ্ঞান” সম্পর্কে জানা এবং “ভালোর স্বার্থে সময়ের সাপেক্ষে এবং অবস্থা অনুযায়ী কোথাও ভাল কোথাও মন্দ যেকোনটিকেই প্রয়োগ করে
সামাজিক শান্তি ও স্থিতীশীলতা বজায় রাখা”
মানুষ নামক প্রাণীটির জন্য এই শিক্ষার মূল পারিবারিক হলেও কেও শিক্ষা পায় স্কুলে কেও মাদ্রাসায়,কেও আবার বাস্তব জীবন দর্শনে………
একজন স্কুল ছাত্র হিসেবে আমি দেখেছি, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত যে ভাব-সম্প্রসারণ ও প্রবাদ বাক্যগুলো পড়তে হয় এতেই বাস্তব জীবনের নীতিকথা অথবা ইতিকথা দুটোই পর্যবসিত রয়েছে।।
আমরাও বাঙ্গালী ছাত্র ভাইয়েরা এই ভাব-সম্প্রসারণ গুলো শুধু মুখস্থই করেছি পরীক্ষায় ভাল মার্কস পাওয়ার আশায় একটি নয় কয়েকটি বই মিলিয়ে সুন্দর করে সাজিয়েছি ভাব-সম্প্রসারণগুলো কারণ একটাই ভাল রেজাল্ট চাই।।
আচ্ছা চিন্তা করুন তো আমরা যদি এখনও এই ভাব-সম্প্রসারণ গুলোর কথা নিয়ে বিশ্লেষণ করি আমরা চলার আদর্শ খুঁজে পাবো……কিন্তু আমরা সেই জাতি যারা শিক্ষা পেয়েছে যে,
“গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন,নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন”
দূর্ভাগ্যক্রমে আমরা বেশীর ভাগ বাঙ্গালী ভাইয়েরাই বিদ্যা গ্রন্থগতই রাখি আর ধন-সম্পদ পরের হাতে তো দেই ই না বরং পরেরজনের টা কিভাবে নিজের হস্তে স্থানান্তরিত করা যায় তারিই চিন্তা ও চেষ্টায় মগ্ন থাকি।।
দেখেন একটি প্রবাদ বাক্য আমাদের ভালটিই শিখিয়ে দিয়েছে কিন্তু আমরা ভালকেই রেখে মন্দটিকে বেছে নিই এবং একে আরো মন্দতর পর্যায়ে নামিয়ে দিই এখন তা সর্বপোরি সকল ক্ষেত্রেই লক্ষণীয়।।
এটি কখনোও একটি জাতির জন্য ভাল লক্ষণ নয় ,এটি ধ্বংসের লক্ষণ এবং এটি বাংলাদেশে চরম আকারে বিদ্যমান এবং ফলাফলও খুব বাজে ভাবে উপস্থিত হচ্ছে যা প্রতিটি দরিদ্র এবং মিডল ক্লাস ফ্যামিলি গুলো হারে-হারে টের পাচ্ছে এবং নিরুপায় হয়েই সহ্য করে যাচ্ছে।।
আমার আপনার এই সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে আসুন আমরা সকলে হাতে-হাত,কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ হই সকল মন্দের বিরুদ্ধে,কারণ দেশটাতো আমার-আপনার আমাদের সবার…যারা অর্থান্ধেষী তাদের অনেক অপশন আছে কিন্তু আমার-আপনার অপশন একটাই আমরা ‘বাংলাদেশী’ আমার-আপনার ঠিকানা এই ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কি.মি এর বাংলাদেশ জুড়েই এর বাইরে নয়।।পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই,
“স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে,স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন”
সময় হয়েছে আসুন অর্জিত স্বাধীনতাকে আমরা আমাদের ভাল কাজের মাধ্যমে রক্ষা করি,যেদিন আমরা সকলেই ভালোকে মনে জায়গা দিব তখনিই আমাদের দেশ হবে আমাদের জন্য স্বার্থক ,উপযোগ্য এবং উপযুক্ত।।
চলুন পাল্টাই কেননা,
“দশের লাঠি একের বোঝা,দশের চিন্তাই সামাজিক বিবর্তন”
সুস্থ জ্ঞান ধারণ করুক মানুষ,পরিপূর্ণতা পাক সমাজ, ভালো থাকুক দেশ ও জাতি।।
আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোন।(আমিন)
লেখক:
সভাপতি, জাককনইবি ভালুকা স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েশন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি, অভ্যুদয়।