|

আজ জেলহত্যা দিবস জাতির জীবনে এক কলংকময় দিন

প্রকাশিতঃ ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ | নভেম্বর ০৩, ২০১৮

মো. অানোয়ার হোসেন, ভালুকার খবর: আজ ৩ নভেম্বর শোকাবহ জেলহত্যা দিবস জাতির জীবনে এক কলংকময় দিন। জাতির পিতার রাজনৈতিক সহচর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) মুনসুর আলী ও এ. এইচ এম কামারুজ্জামানকে এই দিনে জেলখানার অভ্যন্তরে মানবতাবোধের চরম নির্মমতা ও নিষ্ঠুর সাক্ষী হচ্ছে ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। দেশের আপামর জনতা যাদের নেতৃত্বে ও নির্দেশে এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে মাত্র ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এদেশেকে স্বাধীন করেছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব নগর সরকারের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে এদেশের জনগণকে একত্রিত করে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করে বিজয়ের পতাকা উঠিয়ে ধরেছে সেই চার নেতাকে চরম নির্মমতার স্বাক্ষর রেখে ৩ নভেম্বরে হত্যা করা হয়।

প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমগ্র বাঙালি জাতির সঙ্গে সশ্রদ্ধচিত্তে যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে শোকাবহ এ দিবসটিকে স্মরণ ও পালন করবে এবং এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জমায়েত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ই আগস্টের কাল রাতে শহীদ ও কারাগারে নির্মমভাবে নিহত জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কারাবন্দী অবস্থায় জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা।

Print Friendly, PDF & Email