নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির নির্বাচনে বিজয়ীরা দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়নি
প্রকাশিতঃ ৯:৫২ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ০৭, ২০১৮

জাককানইবি প্রতিনিধিঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জাককানইবিসাস) এর ২০১৮ নির্বাচনে ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি দায়িত্বপ্রাপ্ত হয় নি । ফলে স্থানীয় সাংবাদিক সমাজে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। গতকাল ৬ নভেম্বর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জাককানইবিসাস) কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ প্রভাববিস্তারের অভিযোগ উঠে।
সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ফলাফল ঘোষণা পর্বে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে তাদের প্রত্যাশিত প্রার্থীকে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষনা দেবার প্রস্তাব দেয়। সাংবাদিক সমিতির গঠনতন্ত্রের বিরুদ্ধে যাওয়ায় জাককানইবিসাস এর গণমাধ্যম কর্মীরা এতে বাধা দেন।নির্বাচনে ভোটের ফলাফলের বিপরীতে ১৩ সদস্যের ১০ জনকে প্রস্তাব দেয় ছাত্রলীগ কর্মী বদরুল আলম বিপুলকে সভাপতি ও রাশেদুজ্জামান রনি কে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণার ।
বর্তমানে দুই সদস্যের কমিটির প্রচার করা হচ্ছে যার বিপরীতে থাকা অনেকেই এর সাথে নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচনে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নিহার সরকার, নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক নাঈমুর হাসান রাহাত, অমীমাংসিত সভাপতি পদের প্রার্থী ওয়াহিদুল ইসলাম, গতকমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক সরকার আব্দুল্লাহ তুহিন, সদস্য ফজলুল হক পাভেল ও সাব্বির আহমেদ । তারা অভিযোগ করেন জোরপূর্বকভাবে জিম্মি করে ১০ সদস্যের সাক্ষর নিয়ে কমিটি করে নেয় ছাত্রলীগের কিছু নেতা।
জাককানইবি শাখা ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব জানান, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি পরে বিস্তর জানতে তাদেরকে আমার সাথে কথা বলার আহবান জানিয়েছি কিন্তু কেউ আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পদদারী কোন নেতা এ বিষয়ে জড়িত আছে বলে আমার জানা নেই। তারপরও অভিযোগটা যেহুতু আমার প্রাণের সংগঠন ছাত্রলীগের দিকে সেই দায়বদ্ধতা থেকে ভিসি মহোদয়ের সাথে কথা বলে সমাধান করার চেষ্টা করবো’।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাংবাদিক সমিতির প্রধান পৃষ্টপোষক প্রফেসর ড.এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ‘অানঅফিসিয়াল্লি বিষয়টি জেনেছি যে নির্বাচনটি সুষ্ঠু হয়নি, যদি কেউ লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন তাহলে তদন্ত করে সমাধান করা হবে।