ডিভোর্স চান সৈকত, সিদ্ধান্তহীনতায় সামিয়া
প্রকাশিতঃ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ | অক্টোবর ০৩, ২০১৮

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও স্ত্রী সামিয়া শারমিন উষার বিবাহ বিচ্ছেদ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মঙ্গলবার বিকালে ময়মনসিংহ জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও স্ত্রী সামিয়া শারমিনকে নিয়ে এ সমঝতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন শাহজাদী।
তিনি দু’ধাপে সামিয়া ও মোসাদ্দেকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
স্থানীয় সূত্র মতে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় সামিয়া ও তার দুই ভাইয়ের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক কথা বলেন শারমিন শাহজাদী।
এরপর বিকেল সোয়া ৩টা থেকে তিনি মোসাদ্দেকের কথা শোনেন।
পরে লিখিত জবানবন্দি শেষে মোসাদ্দেক বিকেল পৌনে ৫টার দিকে অফিস থেকে বের হন। বৈঠকে সৈকত লিখিত বক্তব্য প্রদান করলেও সামিয়া আরও সময় চাওয়ায় কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।
সামিয়া জানিয়েছে, আমাকে একদিন সময় দেন। আমার ছয় ভাই আমার অভিভাবক। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমি সিদ্ধান্ত জানাব। তার প্রত্যাশা মাফিক তাকে সময় দেয়া হয়েছে।
সৈকত লিখিত বক্তব্য দিলেও সামিয়া আরও সময় চেয়েছেন বলে জানান শারমিন শাহজাদী।
সৈকত লিখিত বক্তব্যে সামিয়ার উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাখান করেছেন বলেও জানান তিনি।
সৈকত লিখিত বক্তব্যে যা জানিয়েছেন, দেশের বাইরে খেলার পূর্ব মুহূর্তে সামিয়া নানাভাবে কটুক্তি করে সমস্যার সৃষ্টি করতো।
এতে তার স্বাভাবিক খেলা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ নিয়ে মতবিরোধের কারনে সামিয়া প্রায়ই ডিভোর্স চেয়েছে।
বিষয়টি কয়েকবার পারিবারিকভাবে মীমাংসা হলেও শেষ পর্যন্ত সৈকত ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানান, আইন অনুযায়ী সকল পাওনা ও ক্ষতিপূরণ দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে চান।
উল্লেখ্য, গত ২৬ আগস্ট অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রী সামিয়া শারমিন উষা ক্রিকেটার সৈকতের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কিন্তু আদালত মামলাটি গ্রহণ না করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।