নেত্রকোনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিতঃ ১২:৫৫ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ০৯, ২০১৮

নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনায় দ্বিতীয় স্ত্রী শাহানা খাতুনকে (২২) হত্যার দায়ে স্বামী মামুদ আলীকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে নেত্রকোনার জেলা ও দায়রা জজ কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
মামলার অভিযোগ, নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউনিয়নের ছোট কৈলাটী গ্রামের মৃত মোফাজ্জল খাঁ ছেলে মামুদ আলী পার্শ্ববর্তী সাধুয়ারকান্দা গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে শাহানা খাতুনের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর শাহানা জানতে পারে তার স্বামীর আরেকটি স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি দেখা হয়। এ দিকে স্বামী ও আগের স্ত্রী প্রায় তাকে নির্যাতন করতো এক পর্যায়ে শাহানা স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে যান।
গত ২০১১ সালের ২৫ মে মামুদ আলী শাহানাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। ওইদিন রাতেই স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় পরদিন নিহতের বড় ভাই মো. মামুন মীরবাদী হয়ে শাহানার স্বামী মামুদ আলী (৩৫), প্রথম স্ত্রী সুফিয়া (২৪), মা তারাবানু (৫০), মামুদের আগের শ্বশুর সুরুজ আলী (৫৫), চাচা শ্বশুর জালাল (৪৫), জালালের স্ত্রী সামছুন্নাহার (৩০) ও সুরুজ আলীর ছেলে জব্বারকে (২৬) আসামি করে বারহাট্টা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্ত শেষে আসামি মামুদ আলী, প্রথম স্ত্রী সুফিয়া ও মা তারাবানুর বিরুদ্ধে একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বিজ্ঞ বিচারক মামলার ৭ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন এবং আদালতে উপস্থাপিত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আসামি মামুদ আলীর বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় উপরোক্ত রায় প্রদান করেন। মামলার অপর দুই আসামি সুফিয়া ও তারাবানুর বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি ইফতেখার উদ্দিন আহাম্মদ মাসুদ আর আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মানবেন্দ্র বিশ্বাস উজ্জ্বল।